অনলাইন ডেস্কঃ ফ্রান্সের একটি বিমান ৪৯৬ জন যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আজ বিকেল পৌনে পাঁচটায় হঠাৎ করেই একটা জোরে বিস্ফোরণের মতো শব্দ হলো। বিমানটি কাঁপতে লাগলো। যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়লেন।
যাত্রীরা জানলা দিয়ে দেখতে পেলেন, বিমানটির ডানদিকের পাখার সাথে লাগানো একটি ইঞ্জিনের খানিকটা অংশ খুলে পড়ে গেছে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই ভাঙা ইঞ্জিনের ছবি তুলেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে বিমানের চারটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটির সামনের দিকটা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তার বিমানের ডানারও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
যাত্রীদের একজন ছিলেন ডেভিড রেমার যিনি একসময় বিমানের মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বললেন, শব্দ আর ঝাঁকুনি থেকেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে।
“প্রথম কয়েকটা মুহূর্ত আমার মনে হয়েছিল -আমাদের সবাইকে নিয়ে বিমানটি পড়ে যাচ্ছে” – বলছিলেন মি. রেমার।
তবে বিমানের পাইলটটা সাথে সাথেই ওই ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন এবং ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটির ঝঁকুনি বন্ধ হয়ে যায়।
এর পর বিমানটি তিনটি ইঞ্জিন দিয়েই আরো এক ঘন্টা ওড়ে এবং গতিপথ বদলে পূর্ব কানাডার লাব্রাডরের গুজ বে নামে একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
সেখানে এয়ারবাস অবতরণের উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না ফলে কয়েক ঘন্টা যাত্রীরা বিমানের ভেতরেই বসে থাকেন। পরে দুটি বোইং ৭৭৭ বিমান পাঠিয়ে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
এয়ার ফ্রান্স এক বিবৃতিতে বলেছে, বিমানের ক্রুরা নিখুঁতভাবে গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন।
কি কারণে ইঞ্জিনের একাংশ ভেঙে গেল তা এখনো জানা যায় নি।